স্বদেশ ডেস্ক: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক। এরপর অন্তঃসত্ত্বা। শেষে ভ্রূণ নষ্ট করার পর কিশোরীকে বিয়ে করতে প্রেমিকের অস্বীকার। প্রতারিত ওই কিশোরী সোমবার স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
কিশোরীকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে একাধিবার বের করার চেষ্টা চালিয়েছেন প্রেমিকের স্বজনরা। প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা বধূ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ওই কিশোরী।
ঘটনাটি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার। সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে কিশোরী জানিয়েছেন ‘এ বাড়ির বউ হবো, না হয় লাশ হবো।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ২ বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের রামলক্ষ্মণ গ্রামের হেলাল মৃধার ছেলে লিমনের সঙ্গে সূর্যমণি ইউনিয়নের কিশোরী মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে লিমন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
গত ঈদুল আজহার কয়েক দিন পর ওই কিশোরীকে নুরাইনপুর বাজারে নিয়ে স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে গর্ভনিরোধক বড়ি কিনে খাওয়ায় লিমন। এরপর তার গর্ভের ভ্রূণটি নষ্ট হয়ে যায়।
কিশোরী বলেন, ভ্রূণটি নষ্ট হওয়ার পর লিমন আমাকে বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে চলতে থাকে। আমাকে নষ্ট প্রমাণ করতে লিমন তার বন্ধুকে দিয়ে আমাকে একাধিকবার ফোন করায়। যেন আমি তার বন্ধুর সঙ্গেও প্রেম করি। একপর্যায়ে লিমন আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এখন তো আমার সব শেষ। তাই লিমনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি বলেন, এ বাড়ি আসার পর লিমনের খালা আমাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেন। আমি এখন যাব কোথায়? আমি লিমনের স্ত্রীর মর্যাদা চাই। আমাকে লিমন বিয়ে না করলে এ বাড়ি থেকে আমার লাশ যাবে। এ সময় লিমনকে ওই বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
লিমনের মা কহিনুর বেগম বলেন, লিমনের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক থাকলে আগেই জানতাম। একটি মহল আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। উভয়পক্ষকে ডেকে বক্তব্য জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।